আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতায় ফেরা সতর্ক অবস্থানে নিয়ে গেছে ভারতের পররাষ্ট্রনীতিকে। ফলে পররাষ্ট্রনীতিতে কিছু রদবদল ঘটনানোর চিন্তাভাবনা করছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
এমন প্রেক্ষাপটে রোববার আফগানিস্তান বিষয়ে আলোচনায় বসছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া, যাকে বলা হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে প্রথম ‘টু প্লাস টু’ বৈঠক।
ভারতের পক্ষে পরাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং অস্ট্রেলিয়ার পরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যারিস পেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডাটনের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, কাবুল পরিস্থিতি, তালেবানের সরকার গঠন, পাকিস্তান-চীন গভীর সংযোগ ও হাক্কান্নী নেটওয়ার্কের বিষয় আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।
তালেবানের উত্থানের পর থেকে ব্যস্ততা বেড়েছে ভারতের কূটনৈতিক মহলে। আর হাক্কানী নেটওয়ার্কের সঙ্গে তালেবানের গভীর সংযোগ নিয়ে চিন্তিত ভারত।
শুক্রবার চিন-রাশিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর বৈঠকে দিল্লি যে বক্তব্য দিয়েছে, তাতে সন্ত্রাস নিয়ে ভারতের উদ্বেগ অনেকটাই স্পষ্ট। রাশিয়াও ভারতের সঙ্গে সুর মিলিয়ে জানিয়েছে, প্রতিবেশী বা অন্য দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে যাতে আফগানিস্তানকে ব্যবহার না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর চীনের পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা নিয়ে চিন্তিত অস্ট্রেলিয়াও।
নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার দূত ব্যারি ও’ফারেল বলেন, ‘সমস্ত সম্প্রদায়কে সঙ্গে না নিয়ে যেভাবে আফগানিস্তানে সরকার গঠিত হল, তাতে আমরা গভীরভাবে হতাশ। হাজারা বা অন্য কোনো সম্প্রদায়ের মানুষ নেই, নারী প্রতিনিধি নেই, তালিকাভুক্ত জঙ্গিদের হাতে মন্ত্রিত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা তালেবান সরকারের উপর নজরে রাখছি। তাদের কার্যকলাপ দেখেই নীতি স্থির করবে অস্ট্রেলিয়া।’
অন্যদিকে তালেবানের দখলে যাওয়া আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত ভঙ্গুর’ মনে করছে ভারত।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনায় ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। ভারত আশা করে আফগানিস্তানের মাটিকে সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহার না করতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তালেবান রক্ষা করবে।’
Leave a Reply