০৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪, ৯ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আন্ডারওয়ার্ল্ড দখলে মরিয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫৫:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 16

কারাগার ও বিদেশ থেকে আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণে মরিয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। দীর্ঘদিন কারাগার বা দেশের বাইরে থাকলেও তাদের সহযোগি সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে রাজধানীসহ সারাদেশে চাঁদাবাজি করছে। সম্প্রতি সময়ে রাজনৈতিক দলের কয়েকজন ক্যাডার জামিনে রেবিয়ে আসায় সশস্ত্র ক্যাডার, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও আন্ডারওয়ার্ল্ডের অপরাধীরা কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আসার জন্য লবিং করছে। সামনের রাজনৈতিক কর্মসূচীতে সশস্ত্র ক্যাডারদের ব্যবহার দুই দলের বেশ কয়েকজন গডফাদারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফলে কারাগার থেকে রাজনৈতিক গডফাদারদের সাথে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা যোগাযোগ করছে বলে আইন-শৃংখলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, কারাকর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় দুনীতিবাজ কর্মকর্তার পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও কারাবন্দী এবং বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সহায়তা করে আসছেন। ফলে ব্যবসায়ী, বাড়ির মালিক বা অন্যান্য পেশার লোকজন চাহিদা অনুযায়ী শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সহযোগীদের চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের ভয়ে কেউ কথা বা প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। প্রাণনাশের আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা পুলিশকে অবহিত বা সাধারণ ডায়েরিও করছেন না। আরও অভিযোগ রয়েছে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কারাবন্দি সন্ত্রাসীদের অবাধ যোগাযোগ রয়েছে। কারাগার থেকে আদালতে নেয়ার পর সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠকও হয় এ সব শীর্ষ সন্ত্রাসীদের। সে সময় সাঙ্গপাঙ্গদের দিকনির্দেশনা দেয় তারা। অবশ্য কারাবন্দি শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সহযোগিতার বিষয়টি অস্বীকার করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা।

র‌্যাব, সিআইডি ও পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কারাগার ও বিদেশে থেকে ক্ষমতাশীল দলের বেশ কয়েকজন নেতা, রাজধানীর বেশ কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ প্রভাবশালীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। এমনকি, অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি দেশের বাইরে গিয়ে অপরাধীদের সঙ্গে দেখাও করে আসেন। অপরাধীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী ব্যক্তিরা হোয়াটঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করেন। ফলে দেশে থেকে যোগাযোগ রক্ষা করা হলেও প্রমানের অভাবে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয় না।

ওই কর্মকর্তারা আরো বলেন, সম্প্রতি সময়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগের সাবেক শীর্ষ নেতা সম্্রাট ও খালেদ কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন। এর পর থেকে কারাবন্দী ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র ক্যাডার, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও পেশাদার কিলারদের অনেকেই জামিনের চেষ্টা করছে আমাদের কাছে বলে তথ্য রয়েছে। এ সব বিষয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নজরদারি করা হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তারা মন্তব্য করেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, কারাবন্দী ও বিদেশ পলাতক সন্ত্রাসীরা মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে। তবে আমাদের দৃষ্টির বাইরে কেউ নয়। সম্প্রতি সময়ে দু’টি রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতাদের সাথে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কেউ কেউ যোগাযোগ রক্ষা করছে। আমরা এ সব বিষয় নজরদারি করছি।

এ বিষয়ে র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কারাবন্দী ও বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীরা যদি কোন ব্যবসায়ী বা ব্যক্তির কাছে চাঁদা দাবি করে তা হলে বিষয়টি র‌্যাবকে জানানো হলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অপরাধীদের ভয় পেয়ে কোনভাবেই চাঁদা দেয়া উচিত নয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অপরাধীরা কারাগার বা বিদেশে থেকে চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ করার চেষ্টা করে। এ বিষয়গুলো র‌্যাব নজরদারি করছে। কারাবন্দী ও বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীরা তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করে। র‌্যাব এসব এজেন্টদের গ্রেফতারে সক্রিয় রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, আন্ডারওয়ার্ল্ডের হাতবদল করতে গত ছয় মাস ধরেই টপটেররদের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। নানা সমীকরণ দেখা দেয় তাদের মধ্যে। দীর্ঘদিনের পলাতক ও দেশান্তরী শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ঢাকার নিয়ন্ত্রণে বিদেশে বসেই তৎপরতা চালাতে থাকে। তার ক্যাডাররা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মহড়া শুরু করে। চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে তার অনুসারীদের সক্রিয় রাখে। দুবাইয়ে থেকেই সে তার পরিকল্পনা মতো কাজ চালানোর চেষ্টা করতে থাকে।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২ডজনেরও বেশি চিহ্নিত সন্ত্রাসী কয়েক দশক আগে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন এবং তাদের অনেকেই বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। সরকারি অফিসের দরপত্র মাস্তানি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায়ের ঘটনায় প্রায়ই তাদের নাম শোনা যায়। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজ শিক্ষার্থী প্রীতি হত্যাকাণ্ডে জিসান আহমেদ ও জাফর আহমেদ মানিকের নাম সামনে আসে। মতিঝিলের অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন মানিক।

পুলিশ জানিয়েছে, জিসান ও মানিক ছাড়াও, প্রকাশ কুমার বিশ্বাস, সুব্রত বাইন, খন্দকার তানভীরুল ইসলাম জয়, মোল্লা মাসুদ, নবি হোসেন, আমিনুর রাসুল সাগর ওরফে টোকাই সাগর বিদেশে অবস্থান করে চাঁদাবাজি করছেন। তাদের নাম ইন্টারপোলের লাল তালিকায় রয়েছে। এ ছাড়াও বিকাশ কুমার বিশ্বাস, নরোত্তম সাহা আশিক, শাহিন শিকদার, শাহাদাত হোসেন, রবিন, সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, ডালিম ও মেহেদী দেশের বাইরে থেকে অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করছেন। সেভেন স্টার গ্রুপের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ ভারতে গ্রেপ্তার হলেও পরে জামিনে বেরিয়ে আসে। পরে ঢাকায় যোগাযোগ শুরু করেন ত্রাা। সুব্রত বাইনের চাঁদাবাজির পকেটগুলো সক্রিয় রাখতে মোল্লা মাসুদের তৎপরতা বেড়ে যায়। এদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী রানা মোল্লা এবং রনক, পলাশ আবারও সক্রিয় হয়ে ওঠে। রানা মোল্লা এবং রনকের নেতৃত্বে তার ক্যাডাররা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মহড়া দিয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন। প্রচার করছেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা এলাকায় ফিরেছেন। মাঝে মাঝেই তাদের দেখা যায় কারাবন্দী কালা ফিরোজের অফিসে এবং কেরানীগঞ্জ এলাকায়। ২০০৮ সালে মিরপুরের কাজীপাড়ায় এ্যাপোলোকে হত্যা করেই আলোচনায় আসেন রানা মোল্লা। এরপর তার কদর বাড়ে মতিঝিল এলাকার সন্ত্রাসীদের কাছে। থাইল্যান্ড থেকে মোহাম্মদপুর, আদাবর, শ্যামলী, কল্যাণপুর এলাকায় সক্রিয় নবী উল্লাহ নবীর ক্যাডার জাহিদ, সেন্টু, মিন্টু। কিছু দিন আগে গোপনে দেশে আসে তারা।

সূত্র জানায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর ওয়ারীর গোপীবাগে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেনের বাম হাতের কব্জি কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। আলমগীর হোসেন ৩৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। আহত আলমগীর হোসেনের শ্যালক মো. রাজন জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ওয়ারী বাজার নিয়ন্ত্রণ করতেন আলমগীর। কিন্তু গত রোজার মাসে ওই বাজারটি দখল করে নেয় ঢাকার অন্যতম চিহিৃত সন্ত্রাসী নাসির উদ্দিন। নাসিরের ক্যাডার মাইকেল, রসিদ, রহি, রানা, নিজাম, রিপন বর্তমানে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। নাসিরের হুকুমেই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম কারাগার থেকে বের হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল। গত বছর তার বের হওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে যায় গোয়েন্দা তৎপরতায়। সব মামলায় খালাস পেলেও একটি মামলায় তিনি আটকে থাকেন। ঢাকার পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়ায় বের হওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হয় তাকে। তবে সম্প্রতি সময়ে জামিনে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজধানীর মিরপুরের এক ব্যবসায়ী জানান, গত দেড় বছরে শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘কিলার’ আব্বাসকে কারাগার থেকে বের করে আনতে তার সহযোগীরা অন্তত পাঁচবার চাঁদা দাবি করেছে। প্রথমে চেয়েছিল ১ লাখ টাকা। ১০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সন্ত্রাসীরা টাকা নেয়নি। উল্টো পরিবারসহ সবাইকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিল। প্রথমে মনে করেছিলাম বিষয়টি পুলিশকে জানাব। কিন্তু পরিবারের কথা চিন্তা করে তা থেকে সরে আসি।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা রয়েছে কেরানীগঞ্জ, কাশিমপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ বেশ কয়েকটি কারাগারে। তারা কারাগারে বসেই নানা অপকর্ম করছে। একশ্রেণির কারারক্ষীকে ম্যানেজ করে তারা মোবাইল ফোনে সাঙ্গপাঙ্গদের সঙ্গে সলাপরামর্শ করেন। এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখার পাশাপাশি মাদক কারবার ও চাঁদাবাজির দিকনির্দেশনা দেয়। আদালতে হাজিরা বা জামিন আবেদন করার সময় পরিবার ও সহযোগীদের সঙ্গে প্রকাশ্য মিটিং করে। একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্যকে ম্যানেজ করে তারা এসব অপকর্ম করছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মিরপুরের ঝুনু নামে এক সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও তার অপরাধ কর্মকান্ড একটুও থেমে নেই। তার অন্যতম সহযোগী চন্দন ও রনি ওরফে ভাইস্তা রনি, মালেক ও আনোয়ার এলাকায় চাঁদাবাজি ও মাদক কারবার চালিয়ে আসছেন। তাদের সঙ্গে শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। মিরপুর ১ ও ২ নম্বরের শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদতের অন্যতম সহযোগী রকি, সুমি, বুচি, রাজীব হোসেন, পাইলট, রুবেল সর্দার, সোহেল, মামুন হোসেন, দুলাল হোসেন, সুজন ও রাব্বি মিরপুরের বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছে। শাহাদতের আরেক সহযোগী মোহন কারাগারে থেকেই অপরাধ কর্মকান্ড চালাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, কারাবন্দি হাজারীবাগের লেদার লিটন ও টিটনের নির্দেশনায় হাজারীবাগে এবং ‘ফ্রিডম রাশু’ ও ‘ফ্রিডম সোহেল’-এর নির্দেশনায় মালিবাগ, মৌচাক, চৌধুরীপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় চাঁদাবাজি চলছে। ওই সন্ত্রাসী আরও জানান, মোহাম্মদপুরের ‘পিচ্চি হেলাল’ কারাগার থেকেই অপরাধজগৎ চালাচ্ছেন। তার ছোট ভাই দিপু এলাকার কলকাঠি নাড়ছেন। তাকে সহায়তা করছেন জেনেভা ক্যাম্পের মুর্তাজা ওরফে নাটু মুর্তাজা, ইসতিয়াক, টেরু সেলিম, সাহাবুদ্দিন, আলমগীর, আরমান, মোল্লা আনোয়ার, ইল্টা সালাম, জুম্মন, কুদ্দুস, কালা রাজু, বেজি নাদিম, ফরমা আসলাম, ফয়সাল, জসিম, ফরমা মনু ও হীরা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন উর রশীদ  বলেন, আন্ডারওয়ার্ল্ডের কোনো সন্ত্রাসী যাতে সক্রিয় না হতে পারে আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কোনো ধরনের অপতৎপরতার সুযোগ নিচ্ছে কিনা সে বিষয়েও তীক্ষ নজর রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, বেআইনি কর্মকান্ড বরদাস্ত করা হবে না। কারও বিরুদ্ধে কেউ কোনো ধরনের চাঁদাবাজি, মাস্তানির ব্যাপারে অবহিত করলে আমরা যথাযথভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নেব। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে বিদেশ থেকে চাঁদাবাজি করার বিষয়গুলো আমরা নজরদারি করছি। দেশে অবস্থানরত এদের সহযোগিদের গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা অব্যাহত রয়েছে। সূত্র : ইনকিলাব

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

আন্ডারওয়ার্ল্ড দখলে মরিয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা

Update Time : ০২:৫৫:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

কারাগার ও বিদেশ থেকে আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণে মরিয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। দীর্ঘদিন কারাগার বা দেশের বাইরে থাকলেও তাদের সহযোগি সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে রাজধানীসহ সারাদেশে চাঁদাবাজি করছে। সম্প্রতি সময়ে রাজনৈতিক দলের কয়েকজন ক্যাডার জামিনে রেবিয়ে আসায় সশস্ত্র ক্যাডার, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও আন্ডারওয়ার্ল্ডের অপরাধীরা কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আসার জন্য লবিং করছে। সামনের রাজনৈতিক কর্মসূচীতে সশস্ত্র ক্যাডারদের ব্যবহার দুই দলের বেশ কয়েকজন গডফাদারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফলে কারাগার থেকে রাজনৈতিক গডফাদারদের সাথে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা যোগাযোগ করছে বলে আইন-শৃংখলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, কারাকর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় দুনীতিবাজ কর্মকর্তার পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও কারাবন্দী এবং বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সহায়তা করে আসছেন। ফলে ব্যবসায়ী, বাড়ির মালিক বা অন্যান্য পেশার লোকজন চাহিদা অনুযায়ী শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সহযোগীদের চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের ভয়ে কেউ কথা বা প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। প্রাণনাশের আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা পুলিশকে অবহিত বা সাধারণ ডায়েরিও করছেন না। আরও অভিযোগ রয়েছে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কারাবন্দি সন্ত্রাসীদের অবাধ যোগাযোগ রয়েছে। কারাগার থেকে আদালতে নেয়ার পর সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠকও হয় এ সব শীর্ষ সন্ত্রাসীদের। সে সময় সাঙ্গপাঙ্গদের দিকনির্দেশনা দেয় তারা। অবশ্য কারাবন্দি শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সহযোগিতার বিষয়টি অস্বীকার করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা।

র‌্যাব, সিআইডি ও পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কারাগার ও বিদেশে থেকে ক্ষমতাশীল দলের বেশ কয়েকজন নেতা, রাজধানীর বেশ কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ প্রভাবশালীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। এমনকি, অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি দেশের বাইরে গিয়ে অপরাধীদের সঙ্গে দেখাও করে আসেন। অপরাধীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী ব্যক্তিরা হোয়াটঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করেন। ফলে দেশে থেকে যোগাযোগ রক্ষা করা হলেও প্রমানের অভাবে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয় না।

ওই কর্মকর্তারা আরো বলেন, সম্প্রতি সময়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগের সাবেক শীর্ষ নেতা সম্্রাট ও খালেদ কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন। এর পর থেকে কারাবন্দী ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র ক্যাডার, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও পেশাদার কিলারদের অনেকেই জামিনের চেষ্টা করছে আমাদের কাছে বলে তথ্য রয়েছে। এ সব বিষয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নজরদারি করা হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তারা মন্তব্য করেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, কারাবন্দী ও বিদেশ পলাতক সন্ত্রাসীরা মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে। তবে আমাদের দৃষ্টির বাইরে কেউ নয়। সম্প্রতি সময়ে দু’টি রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতাদের সাথে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কেউ কেউ যোগাযোগ রক্ষা করছে। আমরা এ সব বিষয় নজরদারি করছি।

এ বিষয়ে র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কারাবন্দী ও বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীরা যদি কোন ব্যবসায়ী বা ব্যক্তির কাছে চাঁদা দাবি করে তা হলে বিষয়টি র‌্যাবকে জানানো হলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অপরাধীদের ভয় পেয়ে কোনভাবেই চাঁদা দেয়া উচিত নয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অপরাধীরা কারাগার বা বিদেশে থেকে চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ করার চেষ্টা করে। এ বিষয়গুলো র‌্যাব নজরদারি করছে। কারাবন্দী ও বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীরা তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করে। র‌্যাব এসব এজেন্টদের গ্রেফতারে সক্রিয় রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, আন্ডারওয়ার্ল্ডের হাতবদল করতে গত ছয় মাস ধরেই টপটেররদের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। নানা সমীকরণ দেখা দেয় তাদের মধ্যে। দীর্ঘদিনের পলাতক ও দেশান্তরী শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ঢাকার নিয়ন্ত্রণে বিদেশে বসেই তৎপরতা চালাতে থাকে। তার ক্যাডাররা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মহড়া শুরু করে। চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে তার অনুসারীদের সক্রিয় রাখে। দুবাইয়ে থেকেই সে তার পরিকল্পনা মতো কাজ চালানোর চেষ্টা করতে থাকে।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২ডজনেরও বেশি চিহ্নিত সন্ত্রাসী কয়েক দশক আগে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন এবং তাদের অনেকেই বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। সরকারি অফিসের দরপত্র মাস্তানি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায়ের ঘটনায় প্রায়ই তাদের নাম শোনা যায়। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজ শিক্ষার্থী প্রীতি হত্যাকাণ্ডে জিসান আহমেদ ও জাফর আহমেদ মানিকের নাম সামনে আসে। মতিঝিলের অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন মানিক।

পুলিশ জানিয়েছে, জিসান ও মানিক ছাড়াও, প্রকাশ কুমার বিশ্বাস, সুব্রত বাইন, খন্দকার তানভীরুল ইসলাম জয়, মোল্লা মাসুদ, নবি হোসেন, আমিনুর রাসুল সাগর ওরফে টোকাই সাগর বিদেশে অবস্থান করে চাঁদাবাজি করছেন। তাদের নাম ইন্টারপোলের লাল তালিকায় রয়েছে। এ ছাড়াও বিকাশ কুমার বিশ্বাস, নরোত্তম সাহা আশিক, শাহিন শিকদার, শাহাদাত হোসেন, রবিন, সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, ডালিম ও মেহেদী দেশের বাইরে থেকে অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করছেন। সেভেন স্টার গ্রুপের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ ভারতে গ্রেপ্তার হলেও পরে জামিনে বেরিয়ে আসে। পরে ঢাকায় যোগাযোগ শুরু করেন ত্রাা। সুব্রত বাইনের চাঁদাবাজির পকেটগুলো সক্রিয় রাখতে মোল্লা মাসুদের তৎপরতা বেড়ে যায়। এদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী রানা মোল্লা এবং রনক, পলাশ আবারও সক্রিয় হয়ে ওঠে। রানা মোল্লা এবং রনকের নেতৃত্বে তার ক্যাডাররা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মহড়া দিয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন। প্রচার করছেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা এলাকায় ফিরেছেন। মাঝে মাঝেই তাদের দেখা যায় কারাবন্দী কালা ফিরোজের অফিসে এবং কেরানীগঞ্জ এলাকায়। ২০০৮ সালে মিরপুরের কাজীপাড়ায় এ্যাপোলোকে হত্যা করেই আলোচনায় আসেন রানা মোল্লা। এরপর তার কদর বাড়ে মতিঝিল এলাকার সন্ত্রাসীদের কাছে। থাইল্যান্ড থেকে মোহাম্মদপুর, আদাবর, শ্যামলী, কল্যাণপুর এলাকায় সক্রিয় নবী উল্লাহ নবীর ক্যাডার জাহিদ, সেন্টু, মিন্টু। কিছু দিন আগে গোপনে দেশে আসে তারা।

সূত্র জানায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর ওয়ারীর গোপীবাগে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেনের বাম হাতের কব্জি কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। আলমগীর হোসেন ৩৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। আহত আলমগীর হোসেনের শ্যালক মো. রাজন জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ওয়ারী বাজার নিয়ন্ত্রণ করতেন আলমগীর। কিন্তু গত রোজার মাসে ওই বাজারটি দখল করে নেয় ঢাকার অন্যতম চিহিৃত সন্ত্রাসী নাসির উদ্দিন। নাসিরের ক্যাডার মাইকেল, রসিদ, রহি, রানা, নিজাম, রিপন বর্তমানে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। নাসিরের হুকুমেই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম কারাগার থেকে বের হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল। গত বছর তার বের হওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে যায় গোয়েন্দা তৎপরতায়। সব মামলায় খালাস পেলেও একটি মামলায় তিনি আটকে থাকেন। ঢাকার পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়ায় বের হওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হয় তাকে। তবে সম্প্রতি সময়ে জামিনে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজধানীর মিরপুরের এক ব্যবসায়ী জানান, গত দেড় বছরে শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘কিলার’ আব্বাসকে কারাগার থেকে বের করে আনতে তার সহযোগীরা অন্তত পাঁচবার চাঁদা দাবি করেছে। প্রথমে চেয়েছিল ১ লাখ টাকা। ১০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সন্ত্রাসীরা টাকা নেয়নি। উল্টো পরিবারসহ সবাইকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিল। প্রথমে মনে করেছিলাম বিষয়টি পুলিশকে জানাব। কিন্তু পরিবারের কথা চিন্তা করে তা থেকে সরে আসি।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা রয়েছে কেরানীগঞ্জ, কাশিমপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ বেশ কয়েকটি কারাগারে। তারা কারাগারে বসেই নানা অপকর্ম করছে। একশ্রেণির কারারক্ষীকে ম্যানেজ করে তারা মোবাইল ফোনে সাঙ্গপাঙ্গদের সঙ্গে সলাপরামর্শ করেন। এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখার পাশাপাশি মাদক কারবার ও চাঁদাবাজির দিকনির্দেশনা দেয়। আদালতে হাজিরা বা জামিন আবেদন করার সময় পরিবার ও সহযোগীদের সঙ্গে প্রকাশ্য মিটিং করে। একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্যকে ম্যানেজ করে তারা এসব অপকর্ম করছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মিরপুরের ঝুনু নামে এক সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও তার অপরাধ কর্মকান্ড একটুও থেমে নেই। তার অন্যতম সহযোগী চন্দন ও রনি ওরফে ভাইস্তা রনি, মালেক ও আনোয়ার এলাকায় চাঁদাবাজি ও মাদক কারবার চালিয়ে আসছেন। তাদের সঙ্গে শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। মিরপুর ১ ও ২ নম্বরের শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদতের অন্যতম সহযোগী রকি, সুমি, বুচি, রাজীব হোসেন, পাইলট, রুবেল সর্দার, সোহেল, মামুন হোসেন, দুলাল হোসেন, সুজন ও রাব্বি মিরপুরের বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছে। শাহাদতের আরেক সহযোগী মোহন কারাগারে থেকেই অপরাধ কর্মকান্ড চালাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, কারাবন্দি হাজারীবাগের লেদার লিটন ও টিটনের নির্দেশনায় হাজারীবাগে এবং ‘ফ্রিডম রাশু’ ও ‘ফ্রিডম সোহেল’-এর নির্দেশনায় মালিবাগ, মৌচাক, চৌধুরীপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় চাঁদাবাজি চলছে। ওই সন্ত্রাসী আরও জানান, মোহাম্মদপুরের ‘পিচ্চি হেলাল’ কারাগার থেকেই অপরাধজগৎ চালাচ্ছেন। তার ছোট ভাই দিপু এলাকার কলকাঠি নাড়ছেন। তাকে সহায়তা করছেন জেনেভা ক্যাম্পের মুর্তাজা ওরফে নাটু মুর্তাজা, ইসতিয়াক, টেরু সেলিম, সাহাবুদ্দিন, আলমগীর, আরমান, মোল্লা আনোয়ার, ইল্টা সালাম, জুম্মন, কুদ্দুস, কালা রাজু, বেজি নাদিম, ফরমা আসলাম, ফয়সাল, জসিম, ফরমা মনু ও হীরা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন উর রশীদ  বলেন, আন্ডারওয়ার্ল্ডের কোনো সন্ত্রাসী যাতে সক্রিয় না হতে পারে আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কোনো ধরনের অপতৎপরতার সুযোগ নিচ্ছে কিনা সে বিষয়েও তীক্ষ নজর রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, বেআইনি কর্মকান্ড বরদাস্ত করা হবে না। কারও বিরুদ্ধে কেউ কোনো ধরনের চাঁদাবাজি, মাস্তানির ব্যাপারে অবহিত করলে আমরা যথাযথভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নেব। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে বিদেশ থেকে চাঁদাবাজি করার বিষয়গুলো আমরা নজরদারি করছি। দেশে অবস্থানরত এদের সহযোগিদের গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা অব্যাহত রয়েছে। সূত্র : ইনকিলাব