আগামী কাল শুক্রবার পবিত্র হজ। সৌদি আরবে হিজরি বছরের ৯ জিলহজ মুসলিম উম্মাহকে হজ পালনে ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল-হাজ্জু আরাফাহ অর্থাৎ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়াই হজ। বিশ্ব মুসলিমের মহাসম্মিলন স্থল বা মিলনমেলা এ আরাফার ময়দান। আরাফার ময়দানের পাশে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের ভাষণ দেয়া হবে। আরবি ভাষায় দেওয়া হয় হজের খুতবা। তবে এবারও বাংলা ভাষায় হজের খুতবা শোনা যাবে।
বাংলা ছাড়া আরও ১৩টি ভাষায় হজের খুতবা শোনা যাবে। গত বছর ১০টি ভাষায় খুতবা শোনা গিয়েছিল। বাংলায় হজের খুতবা শোনা যাবে এই ওয়েবসাইটে (https://manaratalharamain.gov.sa)।
আগামী কাল পবিত্র আরাফা ও হজের দিন
আগামী কাল শুক্রবার পবিত্র হজ। সৌদি আরবে হিজরি বছরের ৯ জিলহজ মুসলিম উম্মাহকে হজ পালনে ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল-হাজ্জু আরাফাহ অর্থাৎ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়াই হজ। বিশ্ব মুসলিমের মহাসম্মিলন স্থল বা মিলনমেলা এ আরাফার ময়দান। আরাফার ময়দানের পাশে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের ভাষণ দেয়া হবে। আরবি ভাষায় দেওয়া হয় হজের খুতবা। তবে এবারও বাংলা ভাষায় হজের খুতবা শোনা যাবে।
বাংলা ছাড়া আরও ১৩টি ভাষায় হজের খুতবা শোনা যাবে। গত বছর ১০টি ভাষায় খুতবা শোনা গিয়েছিল। বাংলায় হজের খুতবা শোনা যাবে এই ওয়েবসাইটে (https://manaratalharamain.gov.sa)।
আরাফার দিন সর্বোত্তম দিন : হজরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা: সূত্রে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেন, ‘আরাফা দিবসের চেয়ে উত্তম কোনো দিন নেই। এই দিনে আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীবাসীকে নিয়ে গর্ব করে বলেন, তোমরা আমার ওইসব বান্দাদেরকে দেখো, যারা বিক্ষিপ্ত ও এলোমেলো চুল নিয়ে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে আমার রহমতের আশায় ও শাস্তির ভয়ে আমার কাছে এসেছে। সুতরাং আরাফা দিবসের চেয়ে বেশি দোজখ থেকে মুক্তির আর কোনো দিন নেই। এই দিনে যে পরিমাণ লোক দোজখ থেকে পরিত্রাণ লাভ করবে অন্য কোনো দিন করবে না (সহিহ ইবনে হিব্বান-৩৮৫৩)।
আরাফা দিবস গুনাহ মাফের দিন : হজরত নাফে রা: হজরত ইবনে ওমর রা: থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা:-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ‘আল্লøাহ তায়ালা আরাফার দিন স্বীয় বান্দার প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। যার অন্তরে বিন্দুমাত্র ঈমান থাকবে তাকে অবশ্যই ক্ষমা করে দেয়া হবে।’ হজরত নাফে রা: বলেন, আমি ইবনে ওমর রা:-কে জিজ্ঞেস করলাম, এই ক্ষমা কি সব ঈমানদারের জন্য নাকি শুধু আরাফাবাসীর জন্য খাস? উত্তরে তিনি বলেন, ‘এই ক্ষমা সব ঈমানদারের জন্য’ (ইবনে রজব হাম্বলি রহ:, লাতায়েফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা-৪৭১)।