চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ চিকিৎসাধীনদের দেখতে ও তাদের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নিতে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
রোববার বিকেলে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে যান তিনি। এ সময় ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা কেবল বেড়েই চলেছে। পুরো একটি দিন পার হতে চলেছে অথচ এখন পর্যন্ত নিহতদের সবার নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। বিস্ফোরণের ঘটনায় বহু মানুষ হতাহতের মর্মান্তিক দৃশ্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। অগ্নিদগ্ধ মানুষের অসহনীয় কষ্ট আমাদের সবাইকে বিমর্ষ করে তুলেছে। সরকারের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক এ জাতীয় দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। তিনি নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের বিনামূল্যে সু-চিকিৎসা নিশ্চিত ও পুনর্বাসনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ‘
তিনি আরো বলেন,‘ একদিকে বিনাভোটের অনির্বাচিত সরকারের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার বিষয়টি সবসময় অবহেলিত ও উপেক্ষিত থাকছে। অপরদিকে স্বার্থান্বেষী মহল সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কেমিক্যাল মজুদ রেখে শ্রমিক, কর্মচারী ও সাধারণ জনগণের জীবন-মৃত্যু নিয়ে খেলায় মেতেছে।’
তিনি অবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। একইসাথে এ জাতীয় দুর্ঘটনা রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও যুগোপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানান।’এ সময় নেতৃবৃন্দ আহতদের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ-খবর ও তাদের পরিবার পরিজনের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন এবং তাৎক্ষণিক আহতদের বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়াও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহাঃ দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য শাহীন আহমদ খান প্রমুখ।