1. [email protected] : নিজস্ব প্রতিবেদক :
  2. [email protected] : rahad :
অধিক ফসল উৎপাদন করার ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর | JoyBD24
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ড. ইউনূসের আত্মসম্মান নেই বলে বিবৃতি ভিক্ষা করছেন’: প্রধানমন্ত্রী। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ফলপ্রসূ হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী বিদেশে থাকা নাগরিকদের জন্যে সীমান্ত পুনরায় খুলে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশ থেকে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিষবৃক্ষকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে: ওবায়দুল কাদের। ব্রিকস সম্মেলন শেষে আজ দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী। ডেঙ্গু প্রতিরোধে পানি জমতে না দেওয়া নাগরিক দায়িত্ব : মেয়র তাপস। রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া নিরাপদ নয়: মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করলো নিজ মেয়ে। যমুনা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ এক বৃদ্ধ। এনবিআর নারী কর্মকর্তাকে অপহরণের পেছনে সাবেক স্বামী।

অধিক ফসল উৎপাদন করার ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিক ফসল উৎপাদন করার ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবার পাশাপাশি  সঞ্চয় করার এবং দেশব্যাপী খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে যে কোন সংকট মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মহামারি করোনাভাইরাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মুদ্রাস্ফীতির ক্রমবর্ধমান প্রবণতা, বিদ্যুতের অভাব এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শুরু থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। আমরা যদি সাবধানে এগিয়ে যাই, ইনশাআল্লাহ আমাদের কোন সমস্যা হবে না, এটা আমার বিশ্বাস।’
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র ভাষণে এ কথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা সেনানিবাসের পিজিআর সদর দপ্তরের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
সরকার প্রধান বলেন, চলমান করোনাভাইরাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেনের মতো উন্নত দেশগুলোসহ বিশ্বব্যাপী মূদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি কয়লা না পাওয়া এবং গ্যাস ও ডিজেলের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী উপাদানের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারণে সেখানেও এখন বিদ্যুতের তীব্র সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে নিয়মিত জাহাজ চলাচল না করায় বিশ্ব বর্তমানে পরিবহন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, পরিবহন ব্যয় অত্যাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানির ব্যবহার কমাতে এলাকাভিত্তিক নির্দিষ্ট সময়ের লোডশেডিং করে বিদ্যুতের ব্যবহার কিছুটা কমানো যায় কি-না সে চিন্তাও করছেন তিনি। তবে সে ক্ষেত্রে আকস্মিক নয়, মানুষকে প্রস্তুত থাকার সময়টা দিয়েই তা করা যেতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিদ্যুতের ব্যাপারে আমাদের শুধু সাশ্রয়ীই হলে চলবে না। আমি যেমন চিন্তাও করেছি কিছুটা সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন একটু কমিয়ে দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে উপাদানগুলো সে গুলো যেন আমরা কম ব্যয় করতে পারি।’
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশবাসী প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং প্রত্যক্ষ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন বিশ^ পরিস্থিতির কারণে সংকট উত্তরণে এলাকা ভিত্তিক কিছুটা লোডশেডিং চলতে পারে।
সরকার প্রধান বলেন, ‘এখন আমরা একটা সুনির্দিষ্ট সময় যদি ধরে দেই যে একেক এলাকাভিত্তিক কিছুক্ষণের জন্য সেখানে বিদ্যুতের কিছুটা লোড শেডিং হবে, হঠাৎ যাবে হঠাৎ আসবে না, মানুষ প্রস্তুতি নিতে পারবে। সেভাবেই আমাদের কিছু কিছু পদক্ষেপ এখন থেকেই যদি আমরা নেই তাহলে আগামী দিনে যে আরো সমস্যাটা দেখা দিতে পারে সে পরিস্থিতি থেকে আমরা নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবো।’
‘অনেক উন্নত দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে,’ উল্লেখ করে তিনি দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি এবং জলাশয়কে কাজে লাগানোর মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ব্যক্তি থেকে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সকলের প্রতি আহবান জানান।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সে ক্ষেত্রে, আমরা যদি সাশ্রয়ী হয়ে উঠি এবং আমাদের সঞ্চয় বাড়াতে পারি তাহলে যে কোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারবো।’
সরকার প্রধান বলেন, তাঁর সরকার প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে এবং দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে প্রতিটি গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে ঘর-বাড়ি করে দিচ্ছে।

সবার ঘরে সরকার বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছিলো এবং সবাই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আন্তর্জাতিক বাজারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপকরনগুলোর দাম অত্যাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক দেশে এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। সরকার আর ভর্তুকি দিয়ে কূলাতে পারছে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটা পরিবার, প্রত্যেকটা মানুষ এবং প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান ন্যূনতম খাদ্য উৎপাদনের পদক্ষেপও যদি নেয় তাহলে এই যে বিশ্বব্যাপী যে মন্দা, এর অভিঘাত থেকে আমরা নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবো। কারণ, আমাদের মাটি ও মানুষ আছে। আর এই মাটি অত্যন্ত উর্বর এবং সে কথা জাতির পিতাই আমাদের বলে গেছেন।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে যারা হেয় প্রতিপন্ন করতে চেয়েছিল বা আমাকে, আমার পরিবারকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করে এবং আমার মন্ত্রিসভার সদস্য, সচিব, উপদেষ্টাকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করে যারা অসম্মান করতে চেয়েছিল তাদের উপযুক্ত জবাব আমরা দিয়েছি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু শুধু একটা সেতুই নয়, আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং আমাদের স্বতন্ত্র  জাতিসত্ত্বার ও বহি:প্রকাশ।
সশস্ত্র বাহিনীর বাহিনীর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরার পাশপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগের কথাও জানান সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি প্রথম ১৯৯৮ সালে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ’ এবং ‘মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৯ সালে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং’ এবং ‘আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করেন। আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথম ২০০০ সালে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে নারী অফিসার নিয়োগ দেয়া শুরু করে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর বাংলাদেশকে আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা প্রণীত ১৯৭৪ সালের প্রতিরক্ষা নীতিমালার আলোকে আমরা ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন শুরু করে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীকে আরো আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ‘বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেছি। ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি, ২০১৮’ প্রণয়ন, এ্যারোস্পেস ও এভিয়েশন বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং সিএমএইচগুলোকে অত্যাধুনিক হাসপাতালে রূপান্তর করাসহ পিজিআর সদস্যদের জন্য ঝুঁকিভাতা প্রবর্তণ এবং আবাসনের বন্দোবস্তোসহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক পদক্ষেপের উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কারো সাথে যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই এবং জাতির পিতা আমাদের যে পররাষ্ট্র নীতিমালা দিয়েছেন-‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়’, আমরা সেই নীতিই মেনে চলছি। কিন্তু একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের যেন সমস্ত রকম প্রস্তুতি থাকে এবং বিশেষ করে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার যে গুলো প্রতীক সেগুলো যেন যথাযথভাবে গড়ে উঠে আমরা তার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
তিনি রোদ, ঝড়, বৃষ্টি মাথায় করে পিজিআর সদস্যদের দায়িত্ব পালনের ও ভূয়সি প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিñিদ্র নিরাপত্তাই গার্ডস এর লক্ষ্য’ এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে রেজিমেন্টের সদস্যগণ সাহস, আন্তরিকতা, পেশাগত দক্ষতা, সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা এবং দেশপ্রেমের শপথে বলীয়ান হয়ে দায়িত্ব পালন করবে। কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার, নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং পেশাগত অনুশীলনের মাধ্যমেই এই রেজিমেন্ট আগামীতে আরও সমৃদ্ধ হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2012 joybd24
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Joybd24