ক’দিন আগেও সমুদ্রে বিদেশি জাহাজের হামলা ছিল নৈমিত্যিক ঘটনা। কোস্টগার্ডের নিয়মিত টহল আর অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি যোগ হওয়ায় সমুদ্রে শান্তি ফিরেছে।
উত্তাল সমুদ্র মাঝে মধ্যেই আরও বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠতো জলদস্যুদের হামলায়। চলতো লুটতরাজ। মাঝে মধ্যে পুরো জাহাজের মালামাল গায়েব করে দিতো ডাকাত দল।
সম্প্রতি ঝুঁকি কমেছে। বেশ ক’বছর ধরেই সমুদ্রে স্বস্তি ফেরাতে কাজ করে যাচ্ছে কোস্টগার্ড। ২০১৬ সালের পর থেকে চট্টগ্রামের বহি:নোঙ্গর, কুতুবদিয়া ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে কোস্টগার্ড।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জোনাল কমান্ডার (পূর্ব জোন) ক্যাপ্টেন কাজী শাহ আলম বলেন, ‘২০১৬ সালের আগে অনেক বেশি পাইরেসি হতো। পাইরেসির দিক দিয়ে বাংলাদেশের র্যাংকিং ছিল একেবারে উপরের দিকে। তখন বিদেশি জাহাজ বাংলাদেশে আসতে চাইতো না। ২০১৬ সালের পর থেকে আস্তে আস্তে করে অবস্থার উন্নতি হওয়ায় পাইরেসি অনেক নীচে নেমে আসে। ২০২১ সালের গত ৯ মাসে বহিঃনোঙ্গরে পাইরেসি কোন ঘটনা ঘটেনি।
এরইমধ্যে সংস্থাটি রফতানি পণ্যবাহী অনেকগুলো জাহাজের মাল উদ্ধার করেছে।
ক্যাপ্টেন কাজী শাহ আলম আর বলেন, ‘পাইরেসি শূন্য হলে এর সুফল অনেক বড়। এটা থেকে সরাসরি সরকার, জনগণ সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতি ব্যাপক সুফল পেয়ে থাকে। সমস্ত সংস্থাগুলো সমন্বিত মনোভাব রাখে এবং এদের সহায়তা পেলে এটা বজায় রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে।
সমুদ্রে বিভিন্ন অপারেশনাল কর্মকাণ্ড, বহিঃনোঙ্গরে অবস্থান করা জাহাজের নিরাপত্তা এবং চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সক্ষমতা কম থাকা সত্ত্বেও ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে কোন ধরনের চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। এ কারণে বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের নিরাপত্তা প্রশংসিত হয়েছে।